স্টাফ রিপোর্টার:
কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে এলডিপি নেতাকে না পেয়ে তার বন্ধুকে ফিল্মি স্টাইলে হামলার ঘটনা ঘটেছে। রবিবার (২৫মে) সন্ধ্যায় উপজেলার পেরিয়া বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
হামলায় গুরুতর আহত মিজানুর রহমান পেরিয়া ইউপির রুদ্রচুমা গ্রামের জয়নাল আবদীনের ছেলে।
আহত মিজানুর রহমান বলেন, আমি শনিবার সন্ধ্যার দিকে পেরিয়া উত্তর বাজারে ঔষধ কিনতে আসি।এ সময় পূর্বে থেকে উৎপেতে থাকা ১০-১২ জন মুখোশধারী সন্ত্রাসী আমার উপর অতর্কিত হামলার চালায়। হামলার সময় সন্ত্রাসীরা আমাকে বলে তোর কারনে ঐদিন আবু জাফরকে কিছুই করতে পারিনি, জাফরকে কোথায় লুকিয়ে রেখেছিস বল, তাকে হত্যা করেই শান্তিতে একটু নিঃশ্বাস ফেলবো বলে আমার মাথায় ও শরীরে রামদা দিয়ে আঘাত করতে থাকে। আমি নিজেকে বাঁচাতে তাদের সাথে দস্তাদস্তিতে হামলাকারী একজনের মুখোশ খুলে যায়। হামলার নেতৃত্ব দেয় স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা ও চিহ্নিত সন্ত্রাসী ফারুক। এসময় আমার মাথায়, হাত, পা-সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর ক্ষত সৃষ্টি হয়। পরে স্থানীয়রা আমাকে উদ্ধার করে নাঙ্গলকোট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। আমার বা আমার বন্ধুর কি অপরাধ?এ গণতান্ত্রিক দেশে রাজনীতি করা কি নিষেধ। আমি এ হামলার সুস্থ বিচার চাই।
স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, পেরিয়া গ্রামের আবু জাফর ২০১৯ সাল থেকে এলডিপির রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত হয়। ২০২১ সালে এলডিপির কার্যকরী সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে তার উপর একাধিকবার হামলা হয়। সর্বশেষ ২০২২সালের ২৫ ডিসেম্বর আবু জাফরের উপর আওয়ামী লীগের সন্ত্রীরা হামলা চালায়। ওই হামলায় জাফর গুরুতরভাবে আহত হয় এবং ২ সপ্তাহ পার্শ্ববর্তী উপজেলা লাকসাম জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। আবু জাফর জীবন বাঁচাতে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। সে থেকে জাফরকে খুঁজে বেড়াচ্ছে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা। আবু জাফরকে না পেয়ে গত ২৫ মে (সোমবার) সন্ত্রাসীরা মিজানুর রহমানের উপর হামলা করে।
নাঙ্গলকোট থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা একে ফজলুল হক বলেন,বিষয়টি আমি সাংবাদিকদের মাধ্যমে জেনেছি।লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।