১০:৩০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ অগাস্ট ২০২৫

মেঘনায় রেললাইন নির্মাণে ক্ষতির শঙ্কা ১৯ গ্রাম ঝুঁকিতে, বিকল্প রুটের দাবি স্থানীয়দের

  • প্রকাশের সময় : ১২:৩৭:৩১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৫
  • 16

মোঃ শহিদুজ্জামান রনি:
কুমিল্লার মেঘনা উপজেলায় নারায়ণগঞ্জ-লাকসাম নতুন রেললাইন নির্মাণের প্রাথমিক জরিপে অন্তত ১৯টি গ্রাম ঝুঁকির মধ্যে পড়তে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী। তাদের আশঙ্কা, প্রস্তাবিত রুট বাস্তবায়িত হলে অসংখ্য পরিবারের বসতবাড়ি, ভিটেমাটি এবং ফসলি জমি ধ্বংস হয়ে যাবে। গতকাল সোমবার (২৫ আগস্ট) দুপুরে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও গ্রামবাসীর পক্ষ থেকে মেঘনা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে এ বিষয়ে একটি লিখিত আবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। এতে উল্লেখ করা হয়েছে, “রেললাইনটি জনবসতিপূর্ণ এলাকার উপর দিয়ে গেলে বহু পরিবার বাস্তুচ্যুত হবে এবং জীবিকা হারাবে।”
মেঘনাবাসীর পক্ষে আবেদন জমাদানকারী মেম্বার মোহাম্মদ দিদার আহমেদ ভোরের কলাম!কে বলেন, “আমরা উন্নয়নের বিরুদ্ধে নই। আমরা রেললাইন চাই, কিন্তু মানুষের ঘরবাড়ি ও ফসলি জমি ধ্বংসের বিনিময়ে নয়। সরকারের কাছে আমাদের একান্ত অনুরোধ, বিকল্প রুট নির্ধারণ করা হোক। আবেদনপত্রে গ্রামবাসীর দাবিÑযদি সরকারের নীতিগত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী রেললাইন নির্মাণ করতেই হয়, তবে যেন খালি মাঠ বা অনাবাদি জমির মধ্য দিয়ে রুট নির্ধারণ করা হয়। এতে সাধারণ মানুষের ক্ষতি অনেকাংশে কমবে বলে তাদের মত।
মোহাম্মদ দিদার আহমেদের স্বাক্ষরিত দরখাস্তের সঙ্গে স্থানীয় অসংখ্য ভুক্তভোগী মানুষের গণস্বাক্ষর সংযুক্ত করা হয়েছে। তারা আশা করছেন, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করবে এবং মেঘনার জনজীবন বাঁচাতে বিকল্প সিদ্ধান্ত নেবে। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার হ্যাপি দাস বলেন এখানে আমার কিছু করার নেই তবে আপনাদের দরখাস্তটি আমি সম্মানিত ডিসি মহোদয়ের বরাবরে পাটাবো বাকিটা নির্দিষ্ট কর্তৃপক্ষ দেখবে।

জনপ্রিয়

দেবিদ্বারে সাংবাদিকদের সঙ্গে কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতার মতবিনিময়

মেঘনায় রেললাইন নির্মাণে ক্ষতির শঙ্কা ১৯ গ্রাম ঝুঁকিতে, বিকল্প রুটের দাবি স্থানীয়দের

প্রকাশের সময় : ১২:৩৭:৩১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৫

মোঃ শহিদুজ্জামান রনি:
কুমিল্লার মেঘনা উপজেলায় নারায়ণগঞ্জ-লাকসাম নতুন রেললাইন নির্মাণের প্রাথমিক জরিপে অন্তত ১৯টি গ্রাম ঝুঁকির মধ্যে পড়তে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী। তাদের আশঙ্কা, প্রস্তাবিত রুট বাস্তবায়িত হলে অসংখ্য পরিবারের বসতবাড়ি, ভিটেমাটি এবং ফসলি জমি ধ্বংস হয়ে যাবে। গতকাল সোমবার (২৫ আগস্ট) দুপুরে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও গ্রামবাসীর পক্ষ থেকে মেঘনা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে এ বিষয়ে একটি লিখিত আবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। এতে উল্লেখ করা হয়েছে, “রেললাইনটি জনবসতিপূর্ণ এলাকার উপর দিয়ে গেলে বহু পরিবার বাস্তুচ্যুত হবে এবং জীবিকা হারাবে।”
মেঘনাবাসীর পক্ষে আবেদন জমাদানকারী মেম্বার মোহাম্মদ দিদার আহমেদ ভোরের কলাম!কে বলেন, “আমরা উন্নয়নের বিরুদ্ধে নই। আমরা রেললাইন চাই, কিন্তু মানুষের ঘরবাড়ি ও ফসলি জমি ধ্বংসের বিনিময়ে নয়। সরকারের কাছে আমাদের একান্ত অনুরোধ, বিকল্প রুট নির্ধারণ করা হোক। আবেদনপত্রে গ্রামবাসীর দাবিÑযদি সরকারের নীতিগত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী রেললাইন নির্মাণ করতেই হয়, তবে যেন খালি মাঠ বা অনাবাদি জমির মধ্য দিয়ে রুট নির্ধারণ করা হয়। এতে সাধারণ মানুষের ক্ষতি অনেকাংশে কমবে বলে তাদের মত।
মোহাম্মদ দিদার আহমেদের স্বাক্ষরিত দরখাস্তের সঙ্গে স্থানীয় অসংখ্য ভুক্তভোগী মানুষের গণস্বাক্ষর সংযুক্ত করা হয়েছে। তারা আশা করছেন, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করবে এবং মেঘনার জনজীবন বাঁচাতে বিকল্প সিদ্ধান্ত নেবে। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার হ্যাপি দাস বলেন এখানে আমার কিছু করার নেই তবে আপনাদের দরখাস্তটি আমি সম্মানিত ডিসি মহোদয়ের বরাবরে পাটাবো বাকিটা নির্দিষ্ট কর্তৃপক্ষ দেখবে।