
মোঃ ইয়াছিন মিয়া/ইবনুল হাসান রায়হান:
নির্বাচন নিয়ে সরকার ও নির্বাচন কমিশনের যথেষ্ট আন্তরিকতার অভাব রয়েছে মন্তব্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বাবু গয়েম্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, আমি বিশ্বাস করি নির্বাচন নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার ও নির্বাচন কমিশনের আন্তরিকতা রয়েছে। কিন্তু এই আন্তরিকতা যথেষ্ট নয়। কোনো ষড়যন্ত্র করে বিএনপির অগ্রযাত্রা রুখে দেওয়া যাবে না। ফ্যাসিবাদ বিতারিত হবার পরও নির্বাচন নিয়ে যে আশংকা রয়েছে, তা একাত্তর ও ৭ই নভেম্বরের পরাজিত শক্তি দেশে বিদেশে বসেই ষড়যন্ত্র করছে। ভিপি নূরের উপর হামলা ও ডাকসু নির্বাচন স্থগিতের পর মনে হচ্ছে আমরা আরেকটি যুদ্ধের সম্মুখীন হচ্ছি। তিনি আজ কুমিল্লা নগরীর কান্দিরপাড়ে কুমিল্লা জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ৪৭ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষ্যে আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। সমাবেশে কেন্দ্রিয় বিএনপি এবং উত্তর ও দক্ষিণ এবং মহানগর বিএনপির নেতৃবৃন্দ ও নেতাকর্মীরা অংশগ্রহন করেন। গয়েশ্বর চন্দ্র রায় আরো বলেন, বিএনপির সরকারে থাকার অভিজ্ঞতা রয়েছে আবার বিরোধী দলে থাকার অভিজ্ঞতাও রয়েছে। দলের দুঃসময়ে বড় বড় অনেক নেতা দল ছেড়ে গিয়েছে, কিন্তু তৃনমূলের কোন নেতা কর্মী বিএনপি, বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে ছেড়ে যায় নাই। বিএনপি হলো তৃণমূল মানুষের দল। বিএনপিকে নিয়ে কোন ষড়যন্ত্র করে লাভ নাই। কুমিল্লা মহানগর বিএনরি সভাপতি উদবাতুল বারী আবুর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ইউসুফ মোল্লা টিপুর সঞ্চালনায় সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখে বিএনপির কুমিল্লা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ সেলিম ভুইয়া, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা হাজী আমিন উর রশিদ ইয়াছিন। এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির শিল্প বিষয়ক সম্পাদক আবুল কালাম, বিএনপির কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য খন্দকার মারুফ ভুইয়া, বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক মিয়া, কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আশিকুর রহমান মাহমুদ ওয়াসিম, উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব এ এফ এম তারেক মুন্সীসহ অন্যান্যরা।
সমাবেশ শেষে একটি বর্ণ্যাঢ্য মিছিল কুমিল্লা নগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে আবার দক্ষিণ জেলা বিএনপি কার্যালয়ে এসে শেষ হয়। রেলিতে কুমিল্লার সকল উপজেলা ও মহানগর বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, ছাত্রদল, মহিলাদলসহ অন্যান্য ইউনিটের হাজারো নেতা-কর্মীরা অংশ নেন।