
জবি উল্লাহ মাঈন:
ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য, ভালোবাসা ও মহব্বতের পরিবেশে কুমিল্লায় উদযাপিত হয়েছে পবিত্র ঈদ-ই-মীলাদুন্নবী (সা.)। কুমিল্লা জেলা আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের উদ্যোগে আয়োজিত এ জশনে জুলুছে অংশগ্রহণ করেন প্রায় অর্ধ লক্ষাধিক নবীপ্রেমিক। গত শনিবার (১২ রবিউল আউয়াল), সকাল ৯টায় বখশীয়া দরবার শরীফের সামনে থেকে বর্ণাঢ্য জুলুছটি শুরু হয়। কুমিল্লা মহানগরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে এটি দারোগাবাড়িস্থ হযরত শাহ আবদুল্লাহ গাজীপুরী (রহ.)-এর মাজার শরীফে গিয়ে মিলাদ, কিয়াম ও বিশেষ মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হয়।
জুলুছের নেতৃত্ব প্রদান করেন ঈদ-ই-মীলাদুন্নবী উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক ও বখশিয়া দরবার শরীফের পীর সাহেব মাওলানা শাহ মুহাম্মদ কুতুব উদ্দিন শাহেদী বখ্শী, অলিতলা লতিফিয়া দরবারের,পীর সাহেব হযরত মুফতি শাহ গোলাম মহিউদ্দিন লতিফি,খানকাহে সোবহানীয়ার পীর সাহেব শাহজাদা মুহাম্মদ ইয়াসির আহমেদ সোবহানী, শাহপুর দরবার শরীফের পীর সাহেব শেখ শাহজাদা সৈয়দ গোলাম মুহাম্মদ আব্দুল কাদের কাওকাব, ঘিলাতলা দরবার শরীফের পীর সাহেব, মুফতি সাকিউল কাওসার, ইমামে রাব্বানী দরবার শরীফের পীর সাহেব সাইয়্যেদ মাখদুম শাহ মাদানী, এতে আরো অংশগ্রহণ করেন কুমিল্লা জেলা আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত-এর সভাপতি শাহজাদা শাহ মুহাম্মদ জালাল উদ্দিন বখ্শী,সহসভাপতি মুহাম্মদ নাজমুল হাসান সরকার, সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) মুহাম্মদ মোবারক হোসাইন বখ্শী,সহ সাধারণ সম্পাদক কাজী জাইদুল হোসাইন ইসহাক,সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা মুহাম্মদ আনোয়ার হোসাইন রেজভী,সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা মানসুর আহমদ রাজাপুরী,কোষাধ্যক্ষ মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম শাহেদী, আপ্যায়ন সম্পাদক আহমদ উদ্দিন মানিক গাফফারী,মহানগর সহসভাপতি শাহ মুহাম্মদ আব্দুল মবিন রহমানী, শাহ মীর মুহাম্মদ খসরু শাহেদী,সাংগঠনিক সম্পাদক মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ,মাওলানা জি এম শাহজাহান বিপ্লবীসহ ইসলামি ছাত্রসেনা, গাউসিয়া কমিটি, বখশীয়া যুব ফোরামসহ বিভিন্ন ইসলামি ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ
এছাড়া কান্দিরপাড় জামে মসজিদের খতিব মুফতি ইব্রাহিম আল কাদেরী, তৈয়্যবিয়া দরবারের হাজী মাহমুদ আলম, পানুয়া দরবারের খলিফা আব্দুল কুদ্দুস, রেজভীয়া দরবারের মাওলানা নুরুল আমিন রেজভীসহ কুমিল্লা শহরের বিভিন্ন খানকাহ ও দরবার শরীফের পীর-মাশায়েখ ও প্রতিনিধিগণ অংশগ্রহণ করেন। জুলুছ শেষে মিলাদ মাহফিল ও দোয়ার মাধ্যমে নবীজী (সা.)-এর জীবনী অনুসরণ, মুসলিম উম্মাহর ঐক্য, এবং দেশ ও জাতির শান্তি কামনা করে মোনাজাত করা হয়। আয়োজকরা জানান, ঈদ-ই-মীলাদুন্নবী (সা.) হচ্ছে মুসলমানদের জন্য প্রেম, শ্রদ্ধা ও আত্মার উৎসব। নবীর (সা.) আদর্শে ফিরে আসার জন্যই এই আয়োজন।