০৩:১৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৫

কুমিল্লায় ইউটার্নে দুর্ঘটনা একই পরিবারের ৪ মৃত্যুর ঘটনায় মামলা, বন্ধ হলো ইউটার্ন

  • প্রকাশের সময় : ০১:১৪:০৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ অগাস্ট ২০২৫
  • 76

ইবনুল হাসান রায়হান:
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে কুমিল্লায় পদুয়ার বাজার ইউটার্নে লরির নিচে চাপা পড়ে একই পরিবারের চারজন নিহতের ঘটনায় হানিফ পরিবহনসহ লরির অজ্ঞাতনামা চালকদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। একই সঙ্গে শনিবার (২৩ আগস্ট) বিকেল ৫টা থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে মহাসড়কের ঝুঁকিপূর্ণ পদুয়ার বাজার ইউটার্ন। এছাড়া শনিবার সেনাবাহিনী, হাইওয়ে পুলিশ ও সড়ক ও জনপথ বিভাগের সমন্বিত মতামতের ভিত্তিতে পদুয়ার বাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সামনে পরিদর্শন শেষে ইউটার্ন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। পরবর্তী সিদ্ধান্ত না দেয়া পর্যন্ত সদর দক্ষিণ উপজেলার দয়াপুর ইউ টার্ন থেকে সকল যানবাহন ঘুরে আসতে হবে। বিষয়টি নিশ্চিত করেন সড়ক ও জনপদ বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী আদনান বিন হাসান। তিনি জানান, পদুয়ার বাজার ইউটার্ন এলাকাটি সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, হাইওয়ে পুলিশ, সড়ক ও জনপদ বিভাগের কর্মকর্তারা পরিদর্শন করে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। রবিবার সড়ক ও যোগাযোগ বিষয়ক একটি সমন্বিত সভা রয়েছে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে। সেখান থেকে সমন্বিত ভাবে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। আপাতত এই ইউটার্নটি বন্ধ থাকবে।

কুমিল্লা ময়নামতি হাইওয়ে ক্রসিং থানার উপ পরিদর্শক মোঃ আনিসুর রহমান জানান, গতকাল শুক্রবার দুপুরে পদুয়ার বাজার ইউটার্নে চলন্ত লরি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে প্রাইভেট কারকে চাপা দিলে একই পরিবারের চারজন নিহত হয়। এই ঘটনায় নিহত ওমর আলীর ভাই আবুল কালাম বাদী হয়ে উল্টো পথে আসা হানিফ পরিবহন এবং লরির চালকসহ অন্যান্য অজ্ঞাত আসামীদের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছেন। সদর দক্ষিণ থানায় এই মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। স্থানীয়রা জানান, পদুয়ার বাজার বিশ্বরোড এলাকায় দীর্ঘদিন ধরেই ইউটার্নের কারণে দুর্ঘটনা ঘটছে। প্রতিনিয়ত ঝুঁকির মুখে থাকেন যাত্রীরা। উল্লেখ্য, শুক্রবার (২২ আগস্ট) দুপুর সাড়ে বারোটার দিকে সদর দক্ষিণ উপজেলার পদুয়ার বাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সামনে এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন, কুমিল্লা বরুড়া উপজেলার হোসেনপুর গ্রামের মোহাম্মদ ওমর আলী (৮০), তার স্ত্রী নুরজাহান বেগম (৬৫), বড় ছেলে আবুল হাশেম (৫০) ও ছোট ছেলে আবুল কাশেম (৪৫)। নিহতদের মধ্যে আবুল হাশেম নিজেই প্রাইভেটকারটি চালাচ্ছিলেন। এছাড়াও একই সময়ে ওই লরির সামনের অংশের নিচে চাপা পড়ে সিএনজির তিন যাত্রী আহত হয়।

 

জনপ্রিয়

কুমিল্লায় ইউটার্নে দুর্ঘটনা একই পরিবারের ৪ মৃত্যুর ঘটনায় মামলা, বন্ধ হলো ইউটার্ন

প্রকাশের সময় : ০১:১৪:০৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ অগাস্ট ২০২৫

ইবনুল হাসান রায়হান:
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে কুমিল্লায় পদুয়ার বাজার ইউটার্নে লরির নিচে চাপা পড়ে একই পরিবারের চারজন নিহতের ঘটনায় হানিফ পরিবহনসহ লরির অজ্ঞাতনামা চালকদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। একই সঙ্গে শনিবার (২৩ আগস্ট) বিকেল ৫টা থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে মহাসড়কের ঝুঁকিপূর্ণ পদুয়ার বাজার ইউটার্ন। এছাড়া শনিবার সেনাবাহিনী, হাইওয়ে পুলিশ ও সড়ক ও জনপথ বিভাগের সমন্বিত মতামতের ভিত্তিতে পদুয়ার বাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সামনে পরিদর্শন শেষে ইউটার্ন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। পরবর্তী সিদ্ধান্ত না দেয়া পর্যন্ত সদর দক্ষিণ উপজেলার দয়াপুর ইউ টার্ন থেকে সকল যানবাহন ঘুরে আসতে হবে। বিষয়টি নিশ্চিত করেন সড়ক ও জনপদ বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী আদনান বিন হাসান। তিনি জানান, পদুয়ার বাজার ইউটার্ন এলাকাটি সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, হাইওয়ে পুলিশ, সড়ক ও জনপদ বিভাগের কর্মকর্তারা পরিদর্শন করে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। রবিবার সড়ক ও যোগাযোগ বিষয়ক একটি সমন্বিত সভা রয়েছে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে। সেখান থেকে সমন্বিত ভাবে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। আপাতত এই ইউটার্নটি বন্ধ থাকবে।

কুমিল্লা ময়নামতি হাইওয়ে ক্রসিং থানার উপ পরিদর্শক মোঃ আনিসুর রহমান জানান, গতকাল শুক্রবার দুপুরে পদুয়ার বাজার ইউটার্নে চলন্ত লরি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে প্রাইভেট কারকে চাপা দিলে একই পরিবারের চারজন নিহত হয়। এই ঘটনায় নিহত ওমর আলীর ভাই আবুল কালাম বাদী হয়ে উল্টো পথে আসা হানিফ পরিবহন এবং লরির চালকসহ অন্যান্য অজ্ঞাত আসামীদের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছেন। সদর দক্ষিণ থানায় এই মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। স্থানীয়রা জানান, পদুয়ার বাজার বিশ্বরোড এলাকায় দীর্ঘদিন ধরেই ইউটার্নের কারণে দুর্ঘটনা ঘটছে। প্রতিনিয়ত ঝুঁকির মুখে থাকেন যাত্রীরা। উল্লেখ্য, শুক্রবার (২২ আগস্ট) দুপুর সাড়ে বারোটার দিকে সদর দক্ষিণ উপজেলার পদুয়ার বাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সামনে এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন, কুমিল্লা বরুড়া উপজেলার হোসেনপুর গ্রামের মোহাম্মদ ওমর আলী (৮০), তার স্ত্রী নুরজাহান বেগম (৬৫), বড় ছেলে আবুল হাশেম (৫০) ও ছোট ছেলে আবুল কাশেম (৪৫)। নিহতদের মধ্যে আবুল হাশেম নিজেই প্রাইভেটকারটি চালাচ্ছিলেন। এছাড়াও একই সময়ে ওই লরির সামনের অংশের নিচে চাপা পড়ে সিএনজির তিন যাত্রী আহত হয়।